প্রত্যয় নিউজডেস্ক: হাইভোল্টেজ এক ম্যাচ, দুই দলের সামনেই শীর্ষে ওঠার হাতছানি। দুবাইয়ে যে দল জিতবে, তারাই জায়গা করে নেবে পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে। এমন এক লড়াই যতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার কথা, তার কিছুই হলো না।
বরং বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে রীতিমত নাকাল করে ৫৯ রানের বড় জয় তুলে নিল শ্রেয়াস আয়ারের দিল্লি ক্যাপিটালস। ৫ ম্যাচের ৪টিই জিতে এখন তারা তালিকার শীর্ষে।
লক্ষ্য ছিল ১৯৭ রানের। বড় লক্ষ্য সামনে রেখে যেমন ব্যাটিং করা দরকার ছিল, শুরু থেকেই তেমনটা পারেনি ব্যাঙ্গালুরু। ২৭ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার দেবদূত পাডিক্কেল (৪) আর অ্যারন ফিঞ্চ (১৩)। সেই উইকেট পতনের মিছিল আর থামেনি।
এবি ডি ভিলিয়ার্স (৯), মঈন আলিরাও (১১) ব্যর্থদের তালিকায় নাম লেখান। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ৩৯ বলে ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৪৩ রান করা ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ককে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে সব আশা ভরসা শেষ করে দেন কাগিসো রাবাদা।
৯৪ রানে ৫ উইকেট হারানো ব্যাঙ্গালুরু আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি রাবাদার তাণ্ডবেই। ওয়াশিংটন সুন্দর (১৭), শিভাম দুবে (১১) আর ইসুরু উদানার (১) উইকেটও নিয়েছেন প্রোটিয়া এই পেসার। শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেটে ১৩৭ রানে।
দিল্লির পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল রাবাদা ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার করেন অ্যানরিচ নর্টজে আর অক্ষর প্যাটেল।
এর আগে পৃথ্বি শ, মার্কাস স্টয়নিস, রিশাভ পান্তদের ব্যাটে চড়ে ৪ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে দিল্লি। পৃথ্বি শ আর শিখর ধাওয়ান ৪০ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৬৮ রান। বেশি ভয়ংকর ছিলেন পৃথ্বি। দারুণ সব শটে মাঠ মাতিয়ে রেখেছিলেন।
ডানহাতি এই ওপেনারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সিরাজ। তার দারুণ এক ডেলিভারি বুঝতে না পেরে উইকেটরক্ষক এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ক্যাচ দেন পৃথ্বি। ২৩ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় পৃথ্বি করেন ৪২ রান।
এরপরই রানের গতি হঠাৎ কমে যায় দিল্লির। ৮ থেকে ১২-এই পাঁচ ওভার কোনো বাউন্ডারি পায়নি দলটি। ৩০ বলের মধ্যে মাত্র ২০ রান তুলে তারা হারায় ধাওয়ান আর আয়ারকে।
ইনিংসের দশম ওভারে ইসরু উদানাকে বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন ২৮ বলে ৩২ করা ধাওয়ান। এক ওভার পর মঈন আলিকে খেলতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন আয়ার (১৩ বলে ১১)।
৯০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ঝড়ো জুটিতে আবার রানের গতি বাড়িয়ে তুলেন মার্কাস স্টয়নিস আর রিশাভ পান্ত। ৪১ বলে ৮৯ রান যোগ করে পান্ত ফেরেন ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে।
মোহাম্মদ সিরাজের বল গায়ে লেগে পান্ত বোল্ড হন ২৫ বলে ৩৭ করে, যে ইনিংসে ৩টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কাও হাঁকান দিল্লির বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
তবে স্টয়নিস ২৪ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন ওই ওভারেই। শেষ ওভারে এক ছক্কায় ৭ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন সিমরন হেটমায়ার। স্টয়নিস ২৬ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় ৫৩ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন।